বাংলার কথা ডেস্ক:-
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাফসা আক্তার কাকলী (২৭) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত কাকলীর পিতা ইসমাঈল মিয়া মামুন বাদী হয়ে শুক্রবার ৫ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, নিহত হাফসা আক্তার কাকলীর স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা (৩২), শ্বশুর আব্দুল গণি মোল্লা (৫৮), শাশুরী শাহিদা বেগম (৫২), ননদ সিমা বেগম (২৭) এবং মামা শ্বশুর মোক্তার হোসেনকে (৪৮)।
বৃস্পতিবার রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের শিংলাবো গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের লাভড়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল মিয়া মামুনের মেয়ে কাকলীর সঙ্গে ছয় বছর আগে শিংলাবো গ্রামের আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিবাহীত জীবনে তাদের এক কন্যা সাইফা আক্তার (৫) ও এক পুত্র আবদুল্লাহ (২) রয়েছে। বিবাহের কয়েক বছর পর কাকলী জানতে পারে তার স্বামী সাইফুল ইসলাম এর সাথে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক (পরকিয়া) রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
গত ১১ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায় কাকলী তার ছেলে–মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও কাকলীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে কাকলীকে পিটিয়ে জখম করে। কাকলীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে চিকিৎসকরা কাকলীকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কাকলীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। কাকলীর হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।