নারায়গেঞ্জর দুই সাংবাদিককে আটক মিথ্যে নিউজের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লি এলাকায় গত (১৩) মার্চ রাতে দিপা নামে এক মহিলা সাংবাদিকের বাসায় চুরি হয়েছে, চোরকে আটক করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে দৈনিক সময়ের কাগজের সিদ্ধরগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফ খান শুভ সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যায়। খবর পেয়ে গ্লোবাল টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম পেয়ে সেখোনে যায়।সেখানে গিয়ে দুই সাংবাদিক প্রায় দুইশতাদিক ছাত্র জনতা উপস্থিতি দেখতে পায়। ঘটনাস্থলে যে যাকে চোর সন্দেহ করে আটক করা হয়েছিল সে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ভাড়াটিয়া রবিউল ইসলামের ছেলে সবুজ (৩০)। সে আলু বাজার, সিদ্ধিক বাজার, ঢাকায় ইসলাম এন্ড সন্স সেনেটারী দোকানে চাকরি করেন। সে বলেন তার বন্ধু জুয়েল এর মাধ্যমে এখানে আসেন অনৈতিক কাজ করতে কিন্তু তার বন্ধু জুয়েল তাকে রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু সাংবাদিক দিপার দাবি সে এ বাসায় চুরি করতে এসেছে তাকে জনতা আটক করেছে। আর ছাত্রদের দাবি এখানে অনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে এসেছে সবুজ। কিন্তু সবুজের বন্ধু জুয়েল পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি চুরি না অনৈতিক কাজের জন্য এসেছেন। এ বিষয়ে আরিফ খান শুভ বলেন, আমি একজন সংবাদ কর্মী আমি সংবাদ সংগ্রহের কাজে গিয়েছি।কিন্তু আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবে এটা আমি আশা করিনি। ঐদিন সাংবাদিক দীপার বাসায় চুরি হয়েছে সংবাদ শুনে গিয়েছিলাম তারপর ছাত্র জনতার ভিড় দেখে ওখান থেকে চলে এসেছি। আমাকে কোন থানায় আটক করা হয়নি। এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম জানান, আমি নারায়ণগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি, চুরির সংবাদ শুনে ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে থবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা না চিনলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। দীর্ঘ প্রায় ০২ বছর যাবত সততা সাথে ক্লাবের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। মিথ্যে বানোয়াট সংবাদের কারনে আমার ক্লাব এবং ব্যক্তিগত মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এতে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শাহিনুর আলম জানান, ছাত্র ও সাংবাদিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল । পরে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে থানা থেকে চলে যায়। কিন্তু সাংবাদিক আরিফ খান শুভ নামে কোন সংবাদ কর্মীকে থানায় আনা হয়নি বা ডাকা হয়নি এটি মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন। এদিকে কিছু কিছু মহল এটিকে গোলাটে করে গ্লোবাল টেলিভিশনের সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের নামে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার নিউজ চালিয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন্য করছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া নারায়নগঞ্জ রিপোটার্স ক্লাবের সকল সদস্যরা এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষৎতে যাতে এ ধরনের ঘটনার যাত পূনারাবৃত্তি না ঘটে সেই জন্য সকল সচেতন সাংবাদিকদের সুদৃষ্টি আকর্ষন করে।