1. admin@dainikbanglarkotha.com : banglarkotha1987 :
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সোনারগাঁ ইউথ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন অনুর্ধ্ব ১৮+ বারদী ইউনিয়ন এবং অনুর্ধ্ব ১৬ বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপ ফাইনালে পৌরসভা একাডেমী ও বারদী একাডেমী ১৮+ সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপে পৌরসভা একাডেমী ও বৈদ্যেরবাজার একাডেমী ফাইনালে নোয়াগাঁও একাডেমী সিনিয়র সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনালে সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের ১৮+ এর শ্বাসরুদ্ধকর দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের ২৩ তম ম্যাচে সাদিপুর জুনিয়র এবং ২৪ তম ম্যাচে পৌরসভা সিনিয়র জয়ী সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের ২১ তম ম্যাচে নোয়াগাঁও জুনিয়র এবং ২২তম ম্যাচে সনমান্দী সিনিয়র জয়ী সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের ১৯ তম ম্যাচে পৌরসভা জুনিয়র এবং ২০তম ম্যাচে নোয়াগাঁও সিনিয়র জয়ী সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের অনুর্ধ্ব ১৮+ জামপুর ইউপি জয়ী সোনারগাঁ ইউথ চ্যাম্পিয়নশীপের অনুর্ধ্ব ১৬ বারদী ও অনুর্ধ্ব ১৮+ পিরোজপুর ইউপি জয়ী

ভোগান্তীতে সোনারগাঁও পৌরবাসী, নাগরিক সনদ নিতে লাগে সাতদিন

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩১৭ বার পঠিত

বাংলার কথা ডেস্ক:-

এগারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁ উপজেলা।আর সোনারগাঁ পৌরসভাটি হচ্ছে সকলের মধ্য মনি।যেহেতু সকল ইউনিয়নের মাঝে এই পৌরসভাটি অবস্থতি। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, একটি মাত্র ছোট পৌরসভা দীর্ঘদিন মেয়রহীন, অবহেলিত, নেই কোন কারো উদ্যোগ, নেই কারো এই নিয়ে মাথা ব্যাথা।

দীর্ঘ সময় ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ায় পৌরবাসী অভিভাবকহীন হয়ে আছে। সেই সুযোগে চলছে লুটপাট মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী মেয়র ও নয়টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পৌর এরিয়া নিয়ে মামলা জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত হয়। যার ফলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পৌর প্রশাসকের দ্বায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একদিকে তিনি সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও অপর দিকে পৌরসভার দ্বায়িত্বে বহাল থাকাবস্থায় বিশাল ব্যস্ততায় সময় পার করতে হয়।

অপর দিকে উপজেলায় সময় দেয়ায় পৌরসভার সচিব মাশরেকুল আলম, কনর্জাভেটিভে ইনস্পেকটর সেলিম সহ তার সহযোগী দ্বায়িত্বে থাকা আমলারা করছে অনেক অনিয়ম সেই সাথে নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ, ট্রেড লাইসেন্, মৃত্যু সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, অন্যান্য কাজের জন্য হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক টাকা। যেন চলছে লুটের মেলা। এছাড়া জায়গা জমিনের মাপ ও বিচার শালিসের ফাইল পরে আছে বছরের পর বছর। জানা যায়, কনর্জাভেটিভ ইনস্পেকটর সেলিম আহম্মেদ তিনি মশার ঔষধের নাম করে কেরোসিন তেল দিয়ে মশা নিধনের লোক দেখানো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন আর সেই সাথে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকাও। পৌরসভার বিভিন্ন গাড়ি ভাড়ার টাকা জমা না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছেন মাশরেকুল আলম সচিব ও তার সহযোগী সেলিম আহম্মেদ। তারা পৌরসভার গাড়ি ভাড়া দেয় পাঁচ দিনের জন্য আর টাকা জমা দেয় একদিনের।

এছাড়া সামান্য নাগরিক সনদসহ অন্যান্য যে কোন কাগজপত্র (ওয়ারিশ সনদ, জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, ট্রেডলাইসেন্স সহ অন্যান্য) পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত করতে হচ্ছে আগে। দরখাস্ত জমা দেওয়ার ৭ দিন কয়েক দফা ঘুরে নাগরিক সনদ পেতে হচ্ছে ভোক্তভোগীদের।আর অন্যান্য সনদ পাওয়া এখন আকাশের চাঁদের মতো হয়ে গেছে। এছাড়া অনেকের অভিযোগ শতশত জন্মসনদ অনলাইন নাই। পৌরসভায় এ ব্যাপারে গেলে তারা বলছে ডিলিট হয়ে গেছে আবার কখনও বলছে সার্ভার থেকে হ্যাক হয়ে গেছে। এর দায়ভার কে নিবে? তাহলে আগের জন্মনিবন্ধন কোথা থেকে আসল? ভোক্তভোগীদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা না করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে না প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবক বাংলার কথা প্রতিনিধি জানায়। মেয়র না থাকায় মনে খুলে কাউকে কিছু বলতেও পারে না আর কোন কিছু সহজে পাওয়াও যায়না।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গত ০৩/১০/২০২৩ইং তারিখে মাষ্টার রোলে থাকা ৩১ জন কর্মচারীদের পৌরসভা অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। কারন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, কয়েক মাস যাবত সরকারি সার্ভারে সমস্যা থাকায় জন্ম নিবন্ধন, সনদ দেয়া যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় কে বা কারা তা করে দিবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এই খবর যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আসে তিনি জিজ্ঞেস করলে কেউ স্বীকার না করায় এই ৩১ জন কর্মচারীদের পৌরসভা অফিস থেকে বের করে দেন। আরো জানা যায়, বিশেষ ভাবে একটা মহিলাকে অফিস ফান্ড থেকে অগ্রিম এক লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। ওই মহিলার সাথে সচিব সাহেবে কিছু অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকায় ঠিকমত অফিস না করিয়েও মাসের পর মাস বেতন দিয়ে যাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হলো যেহেতু ঐ মহিলার চাকরি নাই কিভাবে ঐ টাকা পরিশোধ করবে বা আদায় করবে? এই টাকা কি সচিব স্যারের নিজের নাকি পৌরসভা ফান্ডের? ইন্জিনিয়ার সাহেব নিজেই সকলের অগোচরে কোটেশনে কাজ করে যাচ্ছে।

এছাড়া পৌরসভা অফিসে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তারা তাদের নিজস্ব কক্ষে নেই। জিজ্ঞেস করলে বলা হয় অফিসের কাজে বাহিরে আছেন। তাদের মোবাইলে কয়েকবার কল দেওয়া হয় কিন্তু মোবাইল রিসিভ করেননি।  খোঁজ নিয়ে দেখা যায় উনারা পৌরসভা অফিসে একটি পার্সোনাল বিশ্রামঘর বানিয়ে সেখানে ঘুমান এবং সর্বদাই শুয়ে বসে সময় কাটান যেন তাদের অফিস নয় আবাসিক আবাস্থল।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, পৌরসভা অফিসে ৩১ জনের মধ্যে ১২ জনকে বহাল করা হয়েছে। তাদের জন্য সরকারি ভাবে আলাদা কোন বেতন না থাকায় মাস শেষে ১০ হাজার টাকা করে দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয়। অপর দিকে অভিযোগ সম্পর্কে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক বাংলার কথা
Theme Customized By Shakil IT Park