নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-
সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে একাধিক মামলার প্রধান আসামি আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদ্রাসা ভাঙচুর, লুটপাট , মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে নৌকার এমপি কাউসার হাসনাত এবং নৌকার চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের প্রভাব দেখিয়ে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করে আসছেন আল-আমিন সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী নামে পরিচিত সাত্তার গং উলুকান্দী গ্রামের আবু সিদ্দিকের ৩৬ শতাংশ জায়গা আওয়ামীলীগের আমলে দখল করে নেন এবং আরো বহু অসহায় মানুষের জায়গা জমি দখল করেন। ঐ ইউনিয়নে অবস্থিত দারুল কোরআন বয়স্ক মাদ্রাসা থেকে চাঁদা দাবি করেন সত্তার গং। চাঁদা না দেওয়ায় মাদ্রাসা লুটপাট ও ভাঙচুর করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে সরকার নিবন্ধিত সংগঠন যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোঃ সানাউল্লাহ বেপারী বাদী হয়ে চাঁদাবাজি মামলা করেন সোনারগাঁ থানায়। যার মামলা নাম্বার, ০৯/২০২৪। অপর দিকে সাত্তারের ছেলে মোঃ কবির (অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিকলীগ বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন), কবির এবং রুবেল এর নেতৃত্বে এখনো চালিয়ে আসছেন রমরমা ইয়াবার ব্যবসা তাদের অত্যাচারে মামরকপুরবাসী সহ আশেপাশের এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। স্থানীয় বাসিন্দা আবু সিদ্দিক এর ছেলে মোঃ মকবুল হোসেন জানান, আমাদের এই জায়গার পশ্চিম পাশে নৌকার চেয়ারম্যান ও বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরকারের নেতৃত্বে সাত্তার গংয়ের মাধ্যমে সরকারি লিজের জায়গা ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা নিয়ে মোঃ হাবিবুর রহমানের বাড়ির মালিকানা রাস্তা করে দেন আওয়ামীলীগের ক্ষমতার মাধ্যমে।
জায়গাটি আমরা স্বাধীনের পর থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকারি আইন মোতাবেক ভোগদখল করে আসছিলাম। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সাত্তার নিজের নামে আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে জোরপূর্বক আমাদের জায়গা দখল করে নেয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা জানান, আল-আমিন সরকার এবং মাত্তার গং ছাত্র হত্যা ও চাঁদাবাজী সহ একাধিক মামলার আসামি। তাদের জুলুম অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: উজ্জল হোসেন মাসুম (এমবিএ),
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার কথা. All rights reserved.