সোনারগাঁ প্রতিনিধি:-
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার হাবিল ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জাহিদুল আলম (২৫) এর পিতা আলমগীর হোসেনের। তিনি জানান, আমার ছেলে জাহিদুল আলম বিসিএস কোচিং এর শিক্ষার্থী। গত ১০ মার্চ আমার ছেলে পায়ে জং ধরা লোহার টুকরা তার পায়ে প্রবেশ করে। পরে রক্তক্ষরণ হলে সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার হাবিল তার চিকিৎসা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিসিন না থাকায় বাহির থেকে ইনজেকশন আনার জন্য আমাকে বলেন। আমি সাথে সাথে বাহির থেকে ইনজেকশন নিয়ে আসি। আমার ছেলেকে ইনজেকশন পুস করার পরে ছেলেটি ব্যথায় ছটফট করতে থাকে।
তখন ডাক্তার হাবিলকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ঠিক হয়ে যাবে। এর আমার ছেলেকে বাসায় নিয়ে যাই কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকে তার শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় ব্যথা অনুভব করে ও পা ফুলা শুরু করে সময় যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে পায়ের ব্যথা শরীরের তাপমাত্রা ও ফুলা বেড়ে যায়। আমি কোন উপায় না পেয়ে প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা নেই। তারপর থেকে আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হতে শুরু করে। পরবর্তীতে আমার ছেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। এছাড়াও তিনি আরো জানান, সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল অদক্ষ, হাতুড়ে ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে যার ভুক্তভোগী সোনারগাঁবাসী। এই ডাক্তার হাবিলের বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ শুনেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাবরিনা হক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে ওই মুহূর্তে আমি হসপিটালে উপস্থিত ছিলাম না, যদি তার চিকিৎসার মধ্যে অবহেলা ও ত্রুটি পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগেও নিয়েছি এবং এবারও নিব যাতে কেউ কোনো ভুল চিকিৎসার শিকার না হয়। তবে, তিনি ভূল চিকিৎসার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবী করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: উজ্জল হোসেন মাসুম (এমবিএ),
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার কথা. All rights reserved.