মো: সুজন:-
বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি দলের ডাকা হরতাল ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক যানবাহন শুন্য হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দুর পাল্লার বাস। ঢাকার আশে পাশের এলাকা থেকে সকালে ২/৪ টা বাস চলাচল করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায় বাসসহ অন্যন্য যানবাহন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জে মোগরাপাড়া, মদনপুর, কাচপুর, বাস স্ট্যান্ডের সামনে দেখা গেছে মহাসড়ক পুরোই ফাঁকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যা রাস্তার এক পাশে অবস্থান নিয়েছেন।
বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা ঢাকাগামী যাত্রী মো: সোহাগ জানান,মনে করেছিলাম বাস চলবো কিন্তু এখানে এসে দেখি একবারেই ফাঁকা। হরতাল হলে আগে তো গাড়ি চলতো এবার ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে। আরেকজন যাত্রী আক্তার হোসেন এবার কঠিন হরতাল হইতাসে। হেরা বললো বাস চালাইবো।কিন্তু মনে হয় ভয় পাইছে।
এদিকে সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর ও অন্যান্য উপজেলাগুলো বিএনপি নেতাকর্মীদের দখল রয়েছে। তারা খন্ড খন্ড মিছিল বের করেছে।পুলিশের সাথে একাধিক স্থানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। মিছিল বের করেছে জামায়াত। মিছিল বের করার পর গনতন্ত্র মঞ্চের ব্যানার কেড়ে নিয়েছে পুলিশ। তবে হরতাল বিরোধী মিছিল বের করেছে যুবলীগ। তাতে লোক সংখ্যা ছিল আশানুরুপ কম।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে শঙ্কা নেই তা বলতে পারি। তবে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওরা বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণ করতে পারে। গতকাল ওরা হঠাৎ আক্রমণ করে পুলিশের একজন সদস্যকে হত্যা করেছে। গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, সকাল থেকেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে আগুন জ্বালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছে। পুলিশ নিজের কাজ করতে এগিয়ে গেলে ওরা পুলিশের ওপরও হামলা করে। পরবর্তীতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, পিকেটিং ও জ্বালাও পোড়াওয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট তিনজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে একজন কাউন্সিলর রয়েছেন। বাকিদের পরিচয় আপাতত জানা যায়নি। পরবর্তীতে জানাতে পারব।তিনি আরও বলেন, আমরা ধ্বংসাত্মক কার্যকালাপ কোথাও দেখলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেব। সকালে আমাদের পুলিশের একজন সদস্য বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। এছাড়া তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: উজ্জল হোসেন মাসুম (এমবিএ),
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার কথা. All rights reserved.