নারায়ণনগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। প্রতিনিত বেড়েই চলেছে অটোরিক্সর সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা। পূর্বে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ৮/১০ বছরের কিশোর থেকে শুরু করে ৭০/৭৫ বছরের বয়ষ্ক লোক চালাচ্ছে অটোরিক্স। এদের মধ্যে কেউ পূর্বে কৃষক, কামার—কুমার, প্রবাসী, মুদি দোকানদার, ফল বিক্রেতা, কাপড় বিক্রেতা, কেউ বা বিভিন্ন বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরীর পেশায় নিয়োজিত ছিল। যাদের পূর্বের কোন ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা নেই। সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এই যানজটের কারনে। এছাড়া রাস্তার দু’পাশরে ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের হাটার পথ থাকলেও সেখানেও নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সানজি সি.এন.জি পাম্প হতে লিজা পাম্প পর্যন্ত উভয় পাশে যখন তখন ছোট মিনিবাস (পারাপার, রওজা, শিমরাইল, দূরন্ত) নামের গাড়িগুলো অনর্থক পাকিং করে রাখছে। ফলে যানযটসহ পথচারীদের পথচলায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সোনারগাঁবাসীর। বাস্তবতা যা, তা হলো মোগরাপাড়া চৌরাস্তার মতো একটি ব্যস্ততম রাস্তায় যানযট নিরসনের জন্য নেই কোন ট্রাফিক। এই রাস্তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, সোনারগাঁ থানা, উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ভূমি অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানী। ছোট মিনিবাস (নাফ, পারাপার, শিমরাইল, দূরন্ত) নামের গাড়িগুলো অনর্থক বিশ্বরোডে পাকিং এবং অটোরিক্সার কারনে সবচেয়ে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত।
প্রায়ই প্রতিদিন সরেজমিনে দেখা যায়, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, দৈলেরবাগ, হাতকোপা, উদ্ববগঞ্জ বাজার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত এলাকাগুলোতেই প্রতিনিয়ত জ্যাম লেগে থাকে। এর প্রধান কারন হচ্ছে অতিরিক্ত অটোরিক্সা এবং বিভিন্ন কোম্পানীর ট্রাক ও লড়ি অসময়ে চলাচলের কারনে।
এক পথচারী খোরশেদ আলম বাবুর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সোনারগাঁবাসী প্রতিদিন এই জ্যামের শিকার। এর প্রধান কারন হিসেবে তিনি বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তার মতো ব্যস্ততম রাস্তা ভেঙ্গে চৌচির, নেই কোন ট্রাফিক, দিনদিন বাড়ছে অটোরিক্সা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এবং যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা। এছাড়া তিনি আরও বলেন, যাত্রী চলাচলের জায়গাগুলোতে নিয়ম বহিভূর্ত ভাবে দোকান পাট গড়ে উঠা এবং গাড়ি পার্কিং করে রাখা। এই জ্যামের কারনে মোগরাপাড়া চৌরাস্ত থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাত্র ১০ মিনিটের জায়গায় যেতে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
আরও এক সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম (আলামিন) এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাড়ি থেকে পর্যাপ্ত পরিমান সময় নিয়ে বের হয়েও সময় মতো অফিসে যেতে পারিনা জ্যামের কারনে। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন, ট্রাফিক বিহীন বেপরোয়া ভাবে যানবাহন চলাচল, বিভিন্ন জায়গা রাস্তা ভেঙ্গে চৌচির এবং যত্রতত্র গাড়ি পাকিং। তিনি আরও বলেন রাস্তার যে বেহাল দশা এই রাস্তা অটোরিক্সা চলাচলের অযোগ্য। এ ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই আমাদের এখানে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হোক এবং যত্রতত্র গাড়ি পাকিং বন্ধ করে জ্যাম গুলো নিয়ন্ত্রন করা হোক। এ ব্যাপারে তিনি সোনারগাঁয়ের সকল প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করনে।