বাংলার কথা ডেস্ক:
সোনারগায়ে দিন দিন বেড়েই চলেছ অটোরিক্সা, মটর সাইকেল চুরি এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা। এতে সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় রয়েছে। একের পর এক ঘটনা ঘটছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে সাধারণ মানুষ। এমনি ২ টি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় চরম বিপাকে ভুক্তভোগীরা। নিরুপায় হয়ে পরেছে তাদের চলার পথ।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই ভুক্তভোগীকে টার্গেট বানিয়ে গতিবিধি নজরে রাখেন। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝো সব নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এই চুরি ছিনতাইয়ের অধিকাংশ ঘটনার এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এমনি এক ঘটনার কথা বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি রকেট কর্মী ভুক্তভোগী মোঃ কাউসার (২১)।গত রোববার (১৭সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক থেকে এই রকেটকর্মীকে পিটিয়ে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ছিনিতাই করে নিয়ে গেছে, ছিনতাইকারী আলামিন (২৫) ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা।
ভুক্তভোগী ছিনতাইকারীদের আঘাতে আহত রকেট কর্মী কাউসার এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় ছিনতাইকারীর নাম ও ছবিসহ লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।কাউসারের বাড়ী মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার বড় রায়পাড়া গ্রামে, বাবার নাম আঃ বারেক । তিনি রকেটের মার্কেটিং সহকারী হিসেবে সোনারগাঁয়ে কর্মরত আছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ভট্টপুর এলাকা থেকে এক কলেজ ছাত্রের বাড়ীর সামনে তালা ভেঙে একটি মটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়, এছাড়া বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের উলুকান্দী মাদরাসা এলাকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তালা কেটে একটি গ্যারেজ থেকে ৫টি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যায়। এই দুটি ঘটনার সিসি টিভি ফোটেজ পাওযা গেছে।
এ ঘটনায় অটোরিকশার ড্রাইভার ও গ্যারেজ মালিক খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবার গুলোকে দেখবার মতো কেউ যেনো নেই সেখানে। শান্তনা জানাবারও নেই কেউ।
ভুক্তভোগী গ্যারেজ মালিক শাহজালাল সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখান। তারপরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঘটে যাওয়া লোম হর্ষক অনেক ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের দমন করতে পারছেনা। অপরাধীদের বেশির ভাগ থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
এব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ যথেষ্ট তৎপর ও সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে। তবে বেশির ভাগক্ষেত্রে যে কোন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারপরও অপরাধীদের ধরার জন্য পুলিশি তৎপরতার কোন ঘাটতি নেই।