জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শুরু হয় কাঁদা ছোড়াছুঁড়ির খেলা। একদল থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়ার নেতৃত্বে গাজী পরিবারের বিরুদ্ধে কোমড় বেধে মাঠে নামে। আরেক দল থাকে গাজী সাহেবের পক্ষে।
শুরু হয় পাল্টা পাল্টি শ্লোগান। মিছিল-মিটিং, মারা-মারি। দিন শেষে মনোনয়ন পান গাজী সাহেবই, মাঝখানে প্রতি পক্ষে দুই একটা লাশ নিয়ে ঘরে ফিরে। আর নির্বাচনের পর প্রতিপক্ষ বিশেষ সুবিধা নিয়ে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে থাকে। পরবর্তী নির্বাচন ঘনিয়ে আসার আগপর্যন্ত।
এই রেওয়াজ চলে আসছে সেই বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় আসছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আবার সেই পুরানো খেলা শুরু হয়ে গেছে।
তবে বিজ্ঞজনদের ধারণা সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়? তাহলে এবারো মনেনয়ন গাজী পরিবারেই পাবে।কারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী সাহেব তার রাজনৈতিক কৌশল খাটিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গত ১৫ বছরে রূপাইগঞ্জের আওয়ামীলীগকে একটা ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব দেওয়ার পর্যায়ে এনে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে। শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত, ডাল-পালার শাখা প্রশাখাও বাড়িয়েছে বিস্তৃত এলাকায়, সারা রূপাইগঞ্জ জুড়ে।
অন্যদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবান সাহেবও নৌকা মনোনয়ন চাচ্ছে। তবে রূপগঞ্জের রাজনীতির মাঠে নতুন মুখ হওয়ায় তার গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেবের জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও নেই।
তবে নির্বাচন এর বাকি আরো প্রায় ৩ মাসেরও বেশি। সময় যতোই ঘনিয়ে আসতে, রূপগঞ্জের রাজনীতির মাঠ ততোধিক গরম হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে হবেন রূপগঞ্জের নৌকার কান্ডারী। এটাই এখন রূপগঞ্জের রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয়।