আজ মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
একমাত্র ছেলে নাহিদকে হারিয়ে দিশেহারা মা-বাবা।
মোহাম্মদ নাহিদের (১৫) সন্ধানে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তার পিতা মোঃ সানাউল্লাহ ও মাতা বিবি ফাতেমা। জানা গেছ ১১ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক ৭ টার সময় চর রঙ্গা মাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ মুনসুরের ভাড়া বাসা হইতে ওরশ মাহফিলের উদ্দেশ্য বের হয় নাহিদ। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি সে। নিখোঁজ হওয়ার দিন নাহিদের পরনে ছিল লাল-সাদা চেক শার্ট এবং টাউজার। উচ্চতা ৫’-৭” গায়ের রং ফর্সা।
এবিষয়ে নাহিদের পিতা-মাতা আত্মীয় স্বজন সহ সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে নিখোঁজ নাহিদের পিতা বাদী হয়ে গত ১৩ মার্চ সংশ্লিষ্ট চান্দগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। চান্দগাঁও থানার ডায়েরি নং ৯৮১ এবং জিডি ট্র্যাকিং TJAJ1। সাধারণ ডায়েরি তদন্ত করছেন চান্দগাঁও থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রিয়াদ উছ সালেহীন বিপি নং ৯৩২০২২৭১৭১।
ডায়েরি সূত্রে জানা যায় যে, চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা মোড়ে ওয়াজ মাহফিলের কথা বলে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় বাসা হইতে বের হয় নাহিদ। তবে নিখোঁজ নাহিদের পিতামাতা ও প্রতিবেশীরা এ প্রতিবেদককে বলেন যে, কাপ্তাই রাস্তার মাথার মোড়ে নয়, ওইদিন রাতে মোহর ৫নং ওয়ার্ডস্থ জানআলী রেল স্টেশন হইতে আনুমানিক ১’শ গজ পূর্বে রেলওয়ের ৮নং পুল সংলগ্ন ওছি শাহ্’র মাজারে বার্ষিক ওরশে ছেমা মাহফি দেখার উদ্দেশ্য বাসা হইতে একা বের হয় নাহিদ।
নিখোঁজ নাহিদ মোহরা UCEP টেকনিক্যাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়। বাসা হইতে স্কুলে আসাযাওয়ার সুবাদে ৮নং পুল এলাকা তার বেশ পরিচিত। নাহিদ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি UCEP টেকনিক্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ক্লাস শিক্ষক চন্দ্র শেখর বড়ুয়াকে মৌখিক ভাবে জানান মোঃ সানাউল্লাহ।
ওরশের দিন রাত আনুমানিক ২টার সময় স্থানীয় কুমার পাড়া কিশোরদের সাথে বস্তি এলাকার লোকজনের সাথে মাদকের ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে তুমুল ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। এসময় নাহিদকে ওইখানে দেখা গেছে বলে জানয়া নাহিদের পরিচিতরা।
নিখোঁজ নাহিদের পিতা, ভোলা জেলার লাল মোহন থানা, লর্দহাডিজ ইউনিয়ন, চাঁদপুর গ্রামের ইদ্রিস মেম্বারের বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা।